সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকা, টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার প্রস্তুতি। তবে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেই প্রস্তুতি যেভাবে হলো, তাতে ভালো কোনো বার্তা নাই বাংলাদেশ দলের। ভয়ঙ্কর ফেরি জার্নিতে রীতিমত বিধ্বস্ত জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারসহ বেশ কয়েকজন সদস্য। ডোমিনিকায় যাত্রা পথে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আর ‘মোশন সিকনেসে’ নুইয়ে পড়েছেন শরিফুল ইসলাম, নুরুল হাসানরা।
দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু শহর সেন্ট লুসিয়ার ক্যাস্ট্রিস বন্দর থেকে ফেরি যাত্রা শুরু হয় সাকিবদের। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময় সকাল) তারা ডোমিনিকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পৌঁছায় স্থানীয় সময় দুপুরে। এই ডোমিনিকাতেই হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি।
সেন্ট লুসিয়া থেকে বের হয়ে যখন আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছিল ফেরি, তখনি মূলত সমস্যা শুরু হয়। ক্রিকেটারদের মনে ভয় ঢুকতে থাকে। বিশালাকার ঢেউ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। পেসার শরিফুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহান তো অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা বমিও করেন এসময়। এ ছাড়া অস্বস্তিতে থাকেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, খোদ ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। ম্যাসেজম্যান সোহেল আতঙ্কে ডেকেই ঘুমিয়ে পড়েন।
ডোমিনিকা থেকে গণমাধ্যমকে দলের এক সদস্য শোনালেন ভয়ঙ্কর যাত্রার গল্প।
দলের সেই সদস্যের মতে ফেরি সাইজ খুব বড় নয়। এর সঙ্গে ৭-১০ ফুট উচ্চতার ঢেউ মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঢেউয়ের ধাক্কায় ফেরি যেভাবে দুলছিল, তাতে দলের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁহাতি পেসার শরিফুল, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এবং সাপোর্ট স্টাফের এক সদস্য ‘মোশন সিকনেসে’ আক্রান্ত হন। তাদের কয়েকজন বমিও করেন এসময়।
তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে এই বীভৎস যাত্রা শেষে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকায় পৌঁছেছে দল। সেখান থেকে ম্যানেজার নাফিস ইকবাল গণমাধ্যমকে জানালেন, তারা এখন বিশ্রামে আছেন। এখন সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক। সবাই সুস্থ আছেন। পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
ডোমিনিকায় ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। প্রথমটি ২ ও দ্বিতীয়টি ৩ জুলাই। এই ভয়ঙ্কর যাত্রার মাত্র একদিনের পরেই মাঠের লড়াই, টেস্ট সিরিজ হারের পর সে লড়াইয়ে কেমন করে সফরকারীরা, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।