তাসকিনের বোলিং এবং তামিম ইকবালের ব্যাটিংয়ে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাতিকদের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলের সকল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ২-১এ সিরিজ জিতে গোটা বিশ্বকে বাঘের গর্জণ শুনালো তামিমসেনারা। ২০০২ সালে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় বাংলাদেশ। এরপর দেশটিতে ২০ বছরে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলেও কোনো জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজের দল। তবে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেই ইতিহাস বদলে দিলো টাইগার সেনারা।
এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক তাসকিন আহমেদ অভিষেক ওয়ানডেতেই মিরপুরে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। প্রায় ৭ বছর পর আবার পেলেন তিনি সেই ভুলে যাওয়া স্বাদ। ৩৫ রানের খরচায় শিকার করলেন ৫ উইকেট। তার এই দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশকে গড়ে দিল সিরিজ জয়ের ক্ষেত্র। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট ১৫৪ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ম স্কোর। আগের সবচেয়ে কম ছিল ২০১৫ সালে মিরপুরে ১৬২।
জবাবে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও লিটনের ১২৭ রানের পার্টনারশীপের পর লিটনের উইকেটটি হারিয়ে ১৫৬ রান করে বাংলাদেশ। লিটন ৪৮ রানে বিদায় নিলেও তামিম ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৯ উইকেটে জয় এনে দেন।