বিশ্বকাপ-২০১৫ এ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টিভি সম্প্রচারের স্বত্ব পেয়েছে স্টার স্পোর্টস। যাদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের প্রায় আড়াই বিলিয়ন দর্শক উপভোগ করতে পারবে ক্রিকেটের মেগা ইভেন্ট।
আর সে কারণেই হয়ত আধুনিক ও দুর্দান্ত সব প্রযুক্তির ব্যবহার করে পুরো দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে তারা।
একটা সময় ছিল যখন পুরো বিশ্বকাপ ক্রিকেট সম্প্রচার করা হত একটি মাত্র ক্যামেরায়। তখন ক্রিকেট দেখার জন্য, টিভি সেটের সামনে দশর্কের সংখ্যাও ছিল কম।
তবে ১১তম ক্রিকেট বিশ্বকাপ যে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ভিন্ন মাত্রা। এ টুর্নামেন্ট উপভোগ করবে সারা বিশ্বের প্রায় আড়াই বিলিয়ন মানুষ। বিপুল সংখ্যক এ দর্শকের কাছে ক্রিকেটের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি খেলায় পুরো মাঠ জুড়ে থাকবে ২৯টি ক্যামেরা।
শুধু তাই নয় গ্রুপ পর্বের ১৩টি ম্যাচের জন্য থাকবে আলট্রা মোশন ক্যামেরা। স্পাইডার ক্যামের সঙ্গে আগে থেকে পরিচিতি আছে দর্শকদের। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডেও থাকছে এর ব্যবহার।
তবে স্পাইডার ক্যামেরা ছাড়াও এবারের আসরে যোগ হতে যাচ্ছে ড্রোন ক্যামেরাও। টাইম স্নিকোমিটার ও এলইডি- স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হবে এবারের বিশ্বকাপে।
সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ ৭টি হাইভোল্টেজ ম্যাচে ব্যবহার করা হবে আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন ক্যামেরা। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ‘ফোর কে’। আর এর ব্যবহারে ক্রিকেট হয়ে উঠবে দর্শকদের কাছে আরও প্রাণবন্ত।
ধারাভাষ্যকারদের তালিকাটাও বেশ বড় এবারের আসরের। সবমিলিয়ে ৩০ জন বিশেষজ্ঞ থাকছেন প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের চুলচেড়া বিশ্লেষনের জন্য।
ইয়ান বোথাম-সুনীল গাভাস্কার, ওয়াসিম আকরাম-সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে হালের ব্রেট লি-রাসেল আর্নল্ডরা বসতে যাচ্ছেন মাইক্রোফোনের পেছনে। আর ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচে তো ধারাভাষ্য দিতে যাচ্ছেন ভারতের কিংবদন্তী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তার সঙ্গে থাকবেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার।