ঘরোয়া লিগে খেলতে পারবেন সাকিব আল হাসান— তবে বিদেশি লিগে খেলতে পারছেন না বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনো বৈঠক চলছে। তার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ৩ মাস করার কথাও জানা গেছে।
গত ২০ জুলাই শাস্তি কমানোর আবেদন জানিয়ে বিসিবি কাছে আপিল করেন অলরাউন্ডার সাকিব। ওই দিন অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।
গত ৭ জুলাই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সবধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় সাকিবকে।
এরপরই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব। তবে বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, আপিল করলে সাকিবের শাস্তির মেয়াদ কমানোর কথা বিবেচনা করবে বোর্ড।
এর আগে ছয় মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আগামী দেড় বছর বিদেশে লিগ থেকে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। ওই সময় বলা হয় অনুশীলনও করতে পারবেন না জাতীয় দলের সঙ্গে।
পরে সাংবাদিকদের বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুন হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সাকিব নয়–সাকিব ১৭ কোটি মানুষের। ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে। তাকে দেখলে তার ভুলগুলো মাপ করে দিতে ইচ্ছা করে তবে তার ভুলগুলো ক্ষমার বাইরে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হবে।
যে যে শাস্তি তাকে দেয়া হযেছিল: জাতীয় দলের ক্রিকেটার কোনো বিজ্ঞাপন করতে চাইলে বিসিবির অনুমতি নিতে হবে।
শাস্তির মেয়াদ এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাইরের কোনো লিগে খেলার জন্য এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পাবেন না। আগামী আইপিএলও রয়ে গেল তার ধরাছোয়ার বাইরে। আচরণ শোধরানো না হলে ভবিষ্যতে আজীবনের জন্যও নিষিদ্ধ হবেন সে।
সর্বশেষ অনাপত্তিপত্র না নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাবিরীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়া, রাগের মাথায় টেস্ট ও ওয়ানডে দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলার মতো মন্তব্যের পর এ শাস্তি নির্ধারণ করে বিসিবি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার হুমকির বিষয়ে জানান বিসিবির প্রেসিডেন্ট। ওই দিন পাপন বলেন, জাতীয় দলের কোচ চন্দিকা হাথুড়ুসিংহে ই-মেইল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। ওই সময়ই সাকিবের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান বিসিবি সভাপতি।