বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে আরো একবার জার্মানির মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় জার্মানি। আবার গত দুই আসরেও আর্জেন্টিনাকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটরা। তাই এবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনা চাইবে প্রতিশোধ নিতে।
আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বললে প্রথম যে নামটা সামনে আসে সেটা ব্রাজিল। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু ব্রাজিল নয়। দলটি হলো জার্মানি। ইউরোপের এই দেশটির সঙ্গে অনেক পুরনো হিসেব নিকেশ রয়েছে আর্জেন্টিনার।
১৯৯০ এর ফাইনালের কথা কোনোদিনই ভুলতে পারবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। মেক্সিকান রেফারি এদগার্দো কোদেসাল ওইদিন দুজন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়ে স্বপ্ন ভেঙেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার। আর নিজেদের শেষ শিরোপাটা জার্মানি জিতেছিল সেবারই।
ম্যারাডোনা যুগ চলে গেছে আর্জেন্টিনা দলের কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল খেলে যতকিছু অর্জন করা সম্ভব তার সবকিছুই দুহাত ভরে পেয়েছেন এই অসাধারণ খেলোয়াড়। তবে আক্ষেপ শুধু একটাই ছুয়ে দেখা হয়নি বিশ্বকাপের ট্রফি। আর একারণেই ম্যারাডোনা ও পেলেদের পাশে মেসিকে বসাতে চান না অনেক ফুটবল বোদ্ধাই।
লিওনেল মেসির আক্ষেপের কারণই জার্মানি। ২০০৬ ও ২০১০ সালে আর্জেন্টিনাকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করে দিয়েছিলো এই জার্মানিই। তাই আর্জেন্টিনার কাছে আজকের ফাইনালটা কেবলই মর্যাদার লড়াই নয় প্রতিশোধের লড়াইও বটে।
ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমার ও নেদারল্যান্ডসের আরিয়েন রোবেন চান বিশ্বকাপটা লিওনেল মেসির হাতেই উঠুক। তবে ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার জিকো মনে করেন ফাইনালে জিতবে জার্মানিই। তবে মেসি জ্বলে উঠলে ঘুরে যেতে পারে খেলার মোড়। একই রকম ভবিষ্যদ্বাণী মাইক্রোসফটের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্টানারও। জার্মান হাতি নেলির ভবিষ্যদ্বাণী চতুর্থবারের মতো শিরোপা নেবে জার্মানি। তবে দুবাইয়ের উঁট জিতিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
লিওনেল মেসি সার্জিও আগুয়েরো আর হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোরা কি পারবেন জার্মান গেড়ো খুলতে। নাকি আরো একবার জার্মান ট্র্যাজেডির শিকার হয়েই বাড়ি ফিরতে হবে আর্জেন্টিনাকে।