তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত দুটায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল। ফাইনালের দৌঁড় থেকে বিদায় নেয়ায় দুদলের জন্যেই এটি শুধুই মর্যাদার লড়াই।
তবে ম্যাচটি জিতে দুদলই চাইছে সান্ত্বনার তৃতীয় স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে। বিশেষ করে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া ব্রাজিলের জন্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ম্যাচ এটি।
ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে দুদলই। ভেঙ্গে গেছে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচটি ফাইনাল নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। তবু আনুষ্ঠানিকতা রক্ষায়, মুখোমুখি সেমিফাইনালের দুই পরাজিত দল নেদারল্যান্ডস ও ব্রাজিল।
চতুর্থবারের মত তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে ব্রাজিল। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মত এ ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডস।
সেমিতে জার্মান ঝড়ে স্তব্ধ হয়েছে সেলেসাওরা। নেইমার, থিয়াগো সিলভাবিহীন ব্রাজিল যেন লড়াই করতেও ভুলে গিয়েছিলো। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের সেই যন্ত্রণা ভুলে, হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে, মাঠে নামবে স্বাগতিকরা।
ডাচদের হারিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের খানিকটা স্বান্তনা দিতে চাইবে লুইস ফেলিপে স্কলারির শিষ্যরা। আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত সেলেসাও অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা।
এদিকে, স্বপ্ন ভেঙ্গেছে নেদারল্যান্ডসেরও। ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে এসেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হবে গেলোবারের ফাইনালিস্টদের। সেমিতে ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হারে নেদারল্যান্ডস। তবে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ধরে রাখতে চাইবে অরেঞ্জরা।
বারো বারের সাক্ষাতে ৪ বার জিতেছে ব্রাজিল। নেদারল্যান্ডস জিতেছে ৩ বার। আর ড্র হয়েছে ৫টি ম্যাচ। আর বিশ্বকাপে পাঁচবারের দেখায় শেষের দুবারই জয় পেয়েছে ডাচরা।
২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে সেলেসাওদের ২-১ গোলে হারিয়েছিলো নেদারল্যান্ডস। আর ডাচদের বিপক্ষে সবশেষ ১৯৯৯ সালে জিতেছিলো ব্রাজিল।