গঞ্জালো হিগুয়েনের একমাত্র গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে ২৪ বছর পর আবারো বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের পর এবারই প্রথম শেষ চারের ওঠার কৃতিত্ব দেখালো আল বিসেলেস্তেরা।
টেলিভিশন সেটের সামনে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক আর মাঠে লিওনেল মেসি, ইজেকুয়েল লাভেজ্জিরা। সবার মনেই উৎকণ্ঠা, আর্জেন্টিনা কী পারবে, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পাসওয়ার্ড ভাঙতে। ১৯৯০ সালের পর যে সেমিফাইনাল খেলা হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। ইতিহাস নতুন করে লিখতেই ব্রাসিলিয়ায় বেলজিয়ামের মুখোমুখি হয় সাদা আকাশীরা। সেই মিশনে শুরুতেই আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত নিষ্প্রভ থাকা গঞ্জালো হিগুয়েন।
গোল খেলেও আক্রমণে পিছিয়ে ছিলো না বেলজিয়াম। কেভিন ডে ব্রুইনের সার্জিও রোমেরো শট সেভ না করলে সমতায় ফিরতে পারতো রেড ডেভিলরা।
মাঝমাঠ থেকে লিওনেল মেসির বাড়ানো বল নিয়ে বেলজিয়ামের বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে ভিনসেন্ট কোম্পানিকে ফাঁকি দিতে ব্যর্থ হন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ডান পায়ের হাঁটুর ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন এই উইঙ্গার।
ডি মারিয়াকে ছাড়াই আক্রমণ রচনা করতে থাকে আলেহান্দ্রো সাবেয়ার শীষ্যরা। তবে নিশানা ভেদ করতে পারছিলেন না লিওনেল মেসিরা।
ভার্টঙ্গেনের ক্রস থেকে মিরাল্যাসের হেডার অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই টানেলে ফিরতে হয় বেলজিয়ামকে।
৬ ম্যাচ পর গোল পেয়ে যেনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন হিগুয়েন। গোলবার বাধা হয়ে না দাড়ালে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেতে পারতেন এ ২৭ বছর বয়সি তারকা। ৭০ মিনিটের পর ৬ গোল করে টুর্নামেন্টের শেষ আটে ওঠা বেলজিয়াম প্রানপন চেষ্টা চালায় সমতায় ফিরতে।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে মেসির সহজ সুযোগ মিস আর বেলজিয়ামের ঝড়ো আক্রমন সফল না হলে ২ যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটে আর্জেন্টিনার।