দুই হেভিওয়েট টিমের মোকাবেলার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব। শুক্রবার রাত ১০ টায় ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির মুখোমুখি হচ্ছে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
পরিসংখ্যানে জার্মানির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে লা ব্লুজরা। তবে, সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স এবং শক্তিমত্তার বিচারে কোন দলই কারো চেয়ে কম নয়।
টুর্নামেন্ট যতই সামনের দিক গড়াচ্ছে ততই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে দলগুলোকে। হন্ডুরাসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছিলো ফ্রান্স।
পরের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলো দা ব্লুজরা। তবে ইকুয়েডরের সঙ্গে গোল করতে পারেনি দিদিয়ের দেশামের শীষ্যরা। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে নাইজেরিয়াকে হারাতে রীতিমতো ঘামঝরাতে হয়েছে ফরাসিদের।
মিল রয়েছে জার্মানির বিশ্বকাপ মিশনেও। পর্তুগালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দাপটের সঙ্গে শুরু করলেও ঘানার সঙ্গে ড্র এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে জার্মানি। আর আলজেরিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটদের।
জার্মানদের মূল শক্তি তাদের সলিড মিডফিল্ড। ৪ ম্যাচে ৯ গোল করেছে জোয়াকিম লোর শীষ্যরা। যার মধ্যে একাই ৪টি গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার থমাস মুলার। ফর্মে রয়েছেন মেসুত ওজিল, আন্দ্রে শার্লে ও মারিও গোৎসেরা। জোয়াকিম লোর বেঞ্চে আরো আছেন জার্মানির পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার লুকাস পোডোলস্কি এবং বিশ্বকাপে রোনাল্দোর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মিরোস্লাভ ক্লোসা।
এদিকে, এ পর্যন্ত চার ম্যাচে ৮ গোল করেছে ফ্রান্স। ৩টি গোল এবং ২টি অ্যাসিস্ট করে দলে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড, করিম বেনজেমা। তবে ফ্রান্স কেবলই বেনজমা নির্ভর দল নয়। অন্যদেরও যে স্কোর করার ক্ষমতা আছে তা দেখা গেছে আগের ম্যাচগুলোতে। দুর্দান্ত খেলছেন মিডফিল্ডার পল পগবা ও ভালবুয়েনারা।
এর আগের ২৫ বারের সাক্ষাতে জার্মানির ৮টির বিপরীতে ১১বার জিতেছে ফ্রান্স। বাকী ৬ ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর বিশ্বকাপে ৩ বারের সাক্ষাতে সমান সমান দুদলই। ১টি করে ম্যাচ জিতেছে দুই দলই। আর ড্র হয়েছে ১টি। অতীত রেকর্ড যাই হোক না কেন এ ম্যাচে জিততে সামর্থ্যের শেষ বিন্দু নিংড়ে লড়বে দুইদলই।