পুরো নব্বই মিনিট আর্জেন্টিনাকে ঠেকিয়ে রেখেছিল ১১ ডিফেন্ডারের চরম রক্ষণাত্বক ইরান কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। ইনজুরি সময়ে মেসির ঝলকে ভেঙে পড়ে ইরানের প্রতিরোধ। পরম কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। মেসির এ ম্যাজিক গোলে ইরানের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার।
খেলার শুরু থেকেই ইরান ছিল চরম রক্ষণাত্বক। তাদের ১১ জন খেলোয়াড়ই খুঁটি গেড়েছিলেন নিজেদের রক্ষণ সীমানায়। শুরু থেকেই চাপ সৃস্টি করেও রক্ষণদুর্গে ফাটল ধরাতে পারছিলেন না আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে ২৬ বছর বয়সী গোলরক্ষকের কৃতিত্বে সে যাত্রা বেঁচে যায় ইরান।
২১ মিনিটে আবারো আগুয়েরোর শট বাঁচিয়ে দেন ইরানি গোলরক্ষক। মিনিট দুয়েক পর প্রথম কর্ণার পেয়ে আবারো সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর ডিফেন্সিভ কৌশল পাল্টে আক্রমণে যায় ইরান। তবে আর্জেন্টাইন গোলকিপার রোমেরোর দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় ইরান। ৫৮ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণ শানিয়েও পোস্ট মিস করেন মেসি। ৬৩ মিনিটে পরপর দুবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে কাঁপন ধরিয়েও সুযোগ হাতছাড়া করে ইরান।
একের পর এক আক্রমণে উল্টো দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চাপে ফেলে দেয় এশিয়ার প্রতিনিধিরা। চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণ চালায় আজেন্টিনা। তৃতীয় ফ্রিকিক থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মূল ভরসা, লিওনেল মেসি। এরপরই ডি মারিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন ইরানি গোলরক্ষক।
ম্যাচের শেষ প্রান্তে পৌঁছে, ইনজুরি টাইমে, লিওনেল মেসির দূর্দান্ত শটে একমাত্র গোলের দেখা পেলো আর্জেন্টিনা।প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও আর্জন্টিনার ত্রাতা ম্যান অব দ্য ম্যাচ লিওনেল মেসি। আকাশি-সাদা জর্সি গায়ে ৪৮তম গোল করলেন বিশ্ব ফুটবলের এই কিং স্টার।