আগামীর রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্মকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে নিতে চাচ্ছে যুক্তফ্রন্ট- এমন কথা জানিয়েছেন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
দেশটিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এ বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন- তরুণ প্রজন্মকে যদি জাগিয়ে তোলা যায় তবেই দেশে দায়িত্ববোধের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
এরইমধ্যে ‘প্রজন্ম বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন যুক্তফ্রন্টের হয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন- এই তরুণরাই যুক্তফ্রন্টের কাণ্ডারি হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিদলীয় যুক্তফ্রন্ট তাদের রাজনৈতিক বিভিন্ন তৎপরতার সঙ্গে যোগ করেছে ‘প্রজন্ম বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনকে’।
গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে প্রজন্ম বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। যাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি সচেতন করে তোলা।
বিভিন্ন ওয়ার্কশপসহ সভা-সমাবেশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের চলছে নানা কার্যক্রম।
দেশের একটি বিশাল অংশ এ তরুণপ্রজন্ম রাজনীতি বিমুখ হয়ে গেছে উল্লেখ করে-যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন- এই প্রজন্মই হতে পারে আগামীর রাজনীতির হাতিয়ার।
তিনি আরো বলেন, ‘মস্ত একটা গ্রুপ, প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ পারসেন্ট হতে পারে—তারা ভোট দেয় না, ভোট দিতে যায় না। একটা বিরাট অংশ বয়সে যারা তরুণ, যাদের উদীপ্ত হওয়ার কথা, দেশকে এতো বেশি ভালোবাসার কথা, আমার দেশের একটি মানুষকে আঘাত করলে রুখে দাঁড়ানোর কথা। আমরা সেই ২১ ফেব্রুয়ারির উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার সেইসব মানুষগুলো হঠাৎ চুপ করে গেল কেন? কেন তারা ভোট দেবে না আমাদের টার্গেট ওরা।’
তিনি বলেন- এই তরুণদেরকে যদি জাগিয়ে তোলা যায় দেশে দায়িত্ববোধের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব—তাই যুক্তফ্রন্ট তরুণ প্রজন্মকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ভিতরে ভিতরে বিদ্রোহ আছে, এদের শুধু জাগিয়ে দেয়া— আমরা যখন তাদের জাগিয়ে দেব, তখন তারা আমাদের ঘুমোতে দেবে না। হরি শংকের একটা ডায়ালগ ছিল না; তুমি আমায় জাগিয়ে দিয়েছো আমি তোমায় ঘুমোতে দেব না। আমার সেই কথা মনে পড়ে। তখন এমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যারা মানুষকে ভয় করবে, শ্রদ্ধা করবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনসহ সকল দাবি আদায়ে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করার পাশাপাশি যথাযথভাবে তাদের সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমারা ক্ষমতার কথা বলি না, আমরা দায়িত্ববোধের কথা বলি। দায়িত্ববোধ থেকে যদি তারা কথা বলত তাহলে লজ্জায় তাদের মাথা নুয়ে যেত। মাথা হেট হয়ে যেত।’