জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপিল বিভাগ জামিন দিলেও সহসাই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। এরইমধ্যে তাকে নাশকতা, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহের মামালাসহ ৮টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তাই কারাগার থেকে মুক্তি পেতে এই মামলাগুলোতেও তাকে জামিন পেতে হবে। আবার ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি শেষ করার নির্দেশনা থাকায় নিম্ন আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া মামলাগুলো থেকে জামিন নিতে বেশ দৌড়ঝাপ করতে হবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের।
তাই মামলগুলোতে জামিন না পাওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারেই থাকতে হবে।
গত ১৬ মে আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখে। এর পাশাপাশি হাইকোর্টকে আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মামলাটির আপিল নিষ্পত্তি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। আপিল শুনানির জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান সংস্থাটির আইনজীবী।
এ মামলায় জামিন পেলেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, সহিংসতা, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ ত্রিশের বেশি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লা, নড়াইল ও ঢাকায় দায়ের করা ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে।
নতুন করে মানহানির আরো দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়েছে ঢাকার হাকিম আদালত।
কোনো একটি মামলাতেও যদি কারোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থাকে তাহলে সেই মামলায় জামিন না পেলে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ব্যপার হবে বলে মনে করেন তার আইনজীবীরা বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেওয়া হলেও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিষয়টি তাকে আটকে রাখার নতুন এক কৌশল।
গ্রেপ্তার দেখানো মামলাগুলোতে যাতে জামিন পাওয়া যায় সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তারা।
দুর্নীতির এ মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে রাজধানীর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।