জাতিসংঘের সবগুলো শর্তপূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দুটি শর্ত পূরণ করলেই যেখানে হয় সেখানে ৩টি সূচকেই অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি।
এর ফলে যেমন কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে তেমনি অনেক সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে যাবে বলে মনে করছেন তারা। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি আর বহির্বিশ্বের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের উপর নজর দেয়ার আহ্বান।
আর সহায়ক বাণিজ্য পরিবেশ পেলে ব্যবসায়ীরা এ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, জাতিসংঘের দেয়া এই তিনটি সূচকের দুটি পূরণ করলেই উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। জাতিসংঘের এ শর্তের বিপরীতে মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশের অর্জন ১২৭৪ ডলার। মানব সম্পদ উন্নয়নে জাতিসংঘের শর্ত ৬৬ পয়েন্টের জায়গায় বাংলাদেশের অর্জন ৭২। আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে জাতিসংঘের শর্ত ৩২ পয়েন্ট বা তার নিচে। বাংলাদেশের অর্জন ২৪। সব মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার নির্দিষ্ট শর্তের চেয়ে বাংলাদেশের অর্জন বেশি।
আগামী ২০২৪ সালে চূড়ান্তভাবে উত্তরণের পর আরো ৩ বছর স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত বিশেষ বাণিজ্য ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশ। তারপরই আসবে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ, নতুন কিছু সুযোগ।
উন্নয়নশীল দেশ হলে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি বাণিজ্যে আরো প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। বর্তমানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জায়গায় শুল্ক দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।
এসব সুবিধা উঠে যাওয়ার আগে আগামী ৯ বছরে বাংলাদেশ নিজেদের তৈরি করতে পারবে বলে আশা ব্যবসায়ীরা।