সামরিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ৪১টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করতে যাচ্ছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে এসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সামনে চলে আসছে প্রতিরক্ষা বা সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি।
প্রশ্ন হলো- ভারতের সঙ্গে কী ধরনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি করবে বাংলাদেশ। তাতে কার স্বার্থ রক্ষা হবে- এমন লাভ-ক্ষতির হিসেব-নিকেষ চলছে সব মহলে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষককের মতে, এই চুক্তি সময় উপযোগী এবং এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হবে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সূচনা সেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছরে স্থল সীমান্ত, সমুদ্রসীমা চিহ্নিত, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক এবং যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রসারিত হতে যাচ্ছে সামরিক সহযোগিতাও। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় ভারত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশিদ বলেন, ভারতের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে সেইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী চীন ও ভারতের সম্পর্কে ভারসাম্য রক্ষা হবে।
তবে এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে বলে বিশ্লেষক শাহিদুজ্জামান মনে করেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক এলাহীর মতে, বাংলাদেশকে তার স্বার্থেই, ভারতের প্রতিরক্ষা সহযোগী হওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী চীন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে যাওয়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তির গুরুত্ব রয়েছে। এনিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছাড়াও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগসহ অবকাঠামো উন্নয়নে তৃতীয় দফায় বড় আকারের ঋণ চুক্তিও হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে। আগামী ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।