রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধার প্রচেষ্টায় কোনো সমন্বয় নেই, ফিলিপাইন থেকে অর্থ উদ্ধারে সুনির্দিষ্ট করণীয়ও ঠিক করতে পারেনি সরকার— আবার এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশও আমলে নিচ্ছে না তারা।
এসব কারণে এখন অর্থ উদ্ধার অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে মনে করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ফরাসউদ্দিন। দেশ টিভিকে এ কথা জানান তিনি।
তবে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে এখনো সুফল পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় শুরুতে এ বিষয়ে ব্যাপক তৎপর ছিল ফিলিপাইন।
অপরাধী সনাক্ত এবং অর্থ উদ্ধারে সেখানকার সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল আর গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চুরির অর্থ স্থানান্তরে সহযোগিতা করায় আরসিবিসিকে ২০ লাখ ডলার জরিমানাও করে দেশটি।
কিন্তু হঠাৎ করেই সুর পাল্টিয়েছে ফিলিপাইন। ঘটনায় দায় নিয়ে জরিমানা গোণা আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রিজার্ভের চুরির অর্থ ফেরত না দেয়ার ব্যাপারে ফিলিপাইনের এভাবে অবস্থান বদলে ফেলার জন্য বাংলাদেশও খানিকটা দায়ী-মনে করেন সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ফরাসউদ্দিন।
তার মতে, অর্থ উদ্ধারের ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এগুলে পরিস্থিতি এমন হতো না।
রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না তার কারণও স্পষ্ট নয় বলে জানান কমিটির প্রধান।
উল্লেখ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের চারটি হিসাবের মাধ্যমে চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে। এই অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে এসেছে দেড় কোটি ডলার।