রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত দিতে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসির) অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনায় বিষ্মিত বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশই এ সুযোগ করে দিয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময়ে প্রকাশ না করা এবং দায়িত্বশীল পদে থাকাদের বিভিন্ন বক্তব্যকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ নিয়ে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন।
রিজার্ভ চুরির ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেড় কোটি ফেরত দিয়েছে দেশটির ক্যাসিনো ব্যবসায়ী উইলিয়াম গো। আরও প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার আছে জব্দকৃত অবস্থায়।
তবে হঠাৎ করেই এটিসহ বাকি ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি)। এতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থ পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়ে রিজার্ভ চুরির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তব্যে অবহেলাকে দায়ী করেছে আরসিবিসি। ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডমিনগুইজ অভিযোগ করেছেন, তদন্তের ফল জানতে দিতে চায় না বাংলাদেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। আবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দিনক্ষণ ঠিক করেও পরে তা আর প্রকাশ করা হয়নি। এ সুযোগই নিচ্ছে ফিলিপাইন।
তাদের দাবি, সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সমন্বিত পদক্ষেপ নিলে— এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অর্থ আদায় তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর এবং মামলা করা না করার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত নেয়ার পরামর্শ তাদের।
রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার আভিযোগে রিজাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশটির মুদ্রা পাচাররোধী সংস্থা অভিযোগপত্র দিয়েছে।
চুরি যাওয়া অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়ায়— রিজল ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার জরিমানাও করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।