অ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে চলছে জমজমাট ব্যবসা—সব সরকারী হাসপাতালেই রয়েছে কম-বেশি অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু সেগুলো পাওয়া কঠিন। পেলেও অনেকবেশি ভাড়া গুণতে হয় বলে অভিযোগ অনেকের।বেসরকারী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বেশি হলেও রয়েছে দুরত্বভেদে রেট, সরকারী হাসপাতালে নেই তার বালাই।
এছাড়াও সরকারি হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের সুযোগে, তৈরি হয়েছে বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স চক্র।যারা সেবার নামে রোগীর সঙ্গে করে প্রতারণা। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এসব অনিয়মের নেই কোনো প্রতিকার।
সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেই রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা তবে অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালগুলোতে এর সংখ্যা খুবই কম। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়ম। সরকারী অ্যাম্বুলেন্সের পাওয়ার এসব ঝামেলায় বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্সই ভরসা রোগীদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা নিতে রাজধানীসহ দেশের বভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়তই আসে রোগী। সে তুলনায় অ্যাম্বুলেন্স নেই, যা আছে তার সেবাও রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই ঢাকার বাইরের রোগীদের বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য দালাল চক্রের ওপরই নির্ভর করতে হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, এসি, প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ এবং প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও ওষুধের ব্যবস্থা থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণ মাইক্রবাসকেই অ্যাম্বুলেন্সে রুপান্তর করা হয় এসব কোনো নিয়মনীতি না মেনেই।
সেবা নয় টাকার জন্যই এ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা—হাসপাতালে রোগি এলেই জমে ওঠে দালাল চক্রের রমরমা বাণিজ্য। এসব চক্রের লোকজন কৌশলে রোগীদের বাধ্য করে ওইসব অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে।
অনেকেরই অভিযোগ সব জেনেও হাসপাতালগুলোর প্রশাসনও এসব ক্ষেত্রে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। প্রশাসনের সামনেই চলছে এসব অনিয়ম।