শ্রমবাজার খুলতে না খুলতেই নারীকর্মী পাঠানোর শর্ত দিয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। দু'দেশের চুক্তিতে এই শর্ত না থাকলেও দূতাবাসের এমন সিদ্ধান্তে সৌদির শ্রমবাজার আবারো বন্ধের আশংকা করছেন বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে খুলে যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রমবাজার। চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিকপর্যায়ে নারীকর্মী পাঠানোর কথা থাকায় একবছরে ৭০ হাজারেরাও বেশি কর্মী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু কাজের পরিবেশ, বেতন-ভাতাসহ নানা প্রতিকূলতায় নারী কর্মী পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরইমধ্যে পুরুষ কর্মী পাঠানোও শুরু হয়েছে।
গত সপ্তাহে কোনো ঘোষণা ছাড়াই ২৫ শতাংশ নারী কর্মী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা দিয়ে পুরুষ কর্মীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয় ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি দূতাবাস। ফলে হাজার হাজার কর্মীর সৌদিআরব যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, চুক্তিতে না থাকলেও নারীকর্মী পাঠানোর শর্তে বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। তারওপর অনেকেরই নেই নারী কর্মী পাঠানোর অনুমতি বলে জানান জনশক্তি রপ্তানীকারক আলী হায়দার চৌধুরী।
বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার- মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন স্বপন এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
দূতাবাসের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বড় এই শ্রমবাজার আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা তার।
জানা গেছে, সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।