সুন্দরবনের গা ঘেঁষে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণে সুন্দরবনসহ আশপাশের এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হওয়া না হওয়া নিয়ে রয়েছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ও সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হলে পরিবেশের কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সুপার ক্রিটিকেল পাওয়া প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য বর্তমানে আমাদের যে টেকনিকেল ক্ষমতা রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এ ধরণের পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা আমাদের এখনো হয়নি।’
সুন্দরনের আশপাশ দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিমার্ণের সময়ে কয়লা না এনে বিকল্প পথে আনলে পরিবেশের কিছুটা ক্ষতি কম হবে বলে জানান খন্দকার সালেক সুফি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুনিয়ার বড় বড় কোল্ড ফায়ার স্ট্যাশনগুলোর পরিচালনা করে রেল দিয়ে। এখন এভাবেই যদি কয়লাগুলো সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আনা- নেয়া করা হয় তাহলে কিছুটা ক্ষতির পরিমান কম হবে।’
বিশ্বের অনেক শহরে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে উল্লেখ করে এটি নিমার্ণের সময় এবং সম্পন্ন হওয়ার পর কয়েক বছর কঠোর নজরদারিরও পরামর্শ দেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ।
খন্দকার সালেক সুফি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৩-৫ বছর এর বিরূপ প্রভাব কী ধরনের হয় তা দেখতে হবে। এর জন্য যারা ইন্সটোলেশনের কাজটি করছে তারাই যদি পরিচালনা করে ২-৩ বছর। তাহলে প্ল্যান্টে থেকেই আমাদের ইঞ্জিনিয়ারাদেরও প্ল্যান্টটি পরিচালনা করার ক্ষমতা বাড়বে।’
রামপালসহ সুন্দরবন এলাকার মানুষের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে সরকার— এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি।
উল্লেখ্য, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) এবং বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) মধ্যকার রামপালে মৈত্রি সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণের চুক্তি হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।