অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কাজী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ— পঁচাত্তরে সেনাপ্রধান ছিলেন তিনিই আর সেনাবাহিনীরই কিছু কুচক্রী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।
দেশ টিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন কিভাবে সেদিন পুরো বাহিনী তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, উপ-সেনপ্রধান, সিজিএস, ব্রিগেড কমান্ডার কেউই তাঁর হুকুম মানছিল না। একা অসহায় হয়ে তাঁর পক্ষে সেদিন কিছুই করার ছিল না।
সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু জুনিয়র অফিসারই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ধানমন্ডির ১৩ নম্বর রোডে শেখ মনির বাসা, মিন্টো রোডে মন্ত্রী সেরনিয়াবতের বাসা এবং সবশেষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে তারা হত্যাযজ্ঞ চালায়।
তবে বারবারই প্রশ্ন ওঠে, সেনাবাহিনীর যে স্তরে স্তরে সাজানো কমান্ড-কাঠমো- তারা এই বিপথগামীদের রুখে দিতে ব্যর্থ হলো কেন ? তখন সেনাপ্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ। তিনিও পারেননি। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, একার পক্ষে তার সেদিন কিছুই করার ছিল না। কেন?
সফিউল্লাহ বলেন, ঘটনার আধঘন্টা আগে তিনি জানতে পেরে ব্রিগেড কমান্ডার শাফায়েত জামিলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ গিয়েছিল, সিজিএস খালেদ মোশারফের কাছেও। আর ঘটনা যে ঘটছে জানতেন জিয়াউর রহমানও। কিন্তু তারা নির্দেশ মানেননি।
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর আক্রান্ত হলে খবর পেয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ফোন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ফোর্স পাঠানোর কথাও বলেছিলেন। তবে ততোক্ষণে দেরি হয়ে যায়।
সফিউল্লাহ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাসদরে জিয়া, খালেদ মোশাররফের সামনেই মেজর ডালিম অস্ত্রের মুখে তাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যায়। জিয়া তখন বাহবা দেয় ডালিমকে।