সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিএনপিতে চলছেই আলোচনা-সমালোচনা, ক্ষোভ আর অসন্তোষ। এরইজেরে ঘটছে পদত্যাগের ঘটনাও। কেউ পেয়েছেন অপ্রত্যাশিত পদ, আবার কারো ঘটেছে পদানবতি। পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, গণতন্ত্র নেই দলের মধ্যেই। কমিটি গঠনে মানা হয়নি গঠনতন্ত্রের নিয়মনীতি।
তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, সিনিয়র নেতাদের সুপারিশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই গঠিত হয়েছে এ কমিটি। কমিটিতে চমক- ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা-কর্মী ও পেশাজীবীদের সমন্বয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর যে উচ্ছাস আর প্রাণচাঞ্চল্য থাকার কথা তবে এর ছিঁটেফোঁটাও নেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বরং আগের চেয়েও নিষ্প্রাণ নয়াপল্টনের কার্যালয় এবং নেই খুব একটা নেতাকর্মীদের আনা-গোনাও।
কমিটি ঘোষণার পরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির পদ ছেড়েছেন মোসাদ্দেক আলী ফালু, শামীমুর রহমান শামীম, কাজী সালিমুল হক কামাল। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে পদত্যাগ করেছেন রংপুর জেলার জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি পরিতোষ চক্রবর্তী।
তবে কেন এ ক্ষোভ আর পদত্যাগের ঘটনা? দলের মধ্যে গণতন্ত্র না থাকায় কমিটি গঠনে মানা হয়নি গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতি। খোদ নীতিনির্ধারকরাই এসবের ধার ধারেন না।
এর জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কমিটি গঠনে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সিনিয়র নেতাদের সুপারিশ।
এ রকম অবস্থায় অনেকে আবার আন্দলন ও দলীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরও কাঙ্খিত পদ না পেয়ে ভাবছেন পদত্যাগের কথাও।
পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও।
দলের ভেতরে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষ আর পদত্যাগের কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে কি-না? তা নিয়েও কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে এ জটিলতা কতোদূর গড়ায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।