প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মাটির মসজিদ এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক রোকনউদ্দিন, তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ও বড় মেয়ের স্বামী। নিরাপত্তা বাহিনী নিখোঁজ আরো সাতজনের যে তালিকা প্রকাশ করে তার মধ্যে এ পরিবারের তথ্যও আছে।
এ ব্যাপারে রোববার রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
২০১৫ সালে পাঁচ সদস্যের পরিবারটি দেশ ত্যাগ করে। তবে তারা কোথায় গেছে সে ব্যাপারে স্বজনরা কিছুই জানেন না। পুলিশ ধারনা করছে, পরিবারটি গোপনে তুরস্ক গেছে।
রাজধানীর খিলগাঁ মাটির মসজিদ এলাকার এই বাসাটিতে থাকতেন রোকন উদ্দিন ও তার পরিবার। ২০১৫ সালের রমজান থেকে তারা আর দেশে নেই বলে জানিয়েছেন আত্মীয়রা। তবে এ পরিবারটি কোথায় আছে বা গিয়েছে সে ব্যপারে নিশ্চিত করে কিছু জানেন না তারা।
রোকন উদ্দিন ছিলেন শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক। তার বড় মেয়ে নাদিয়া রোকন পড়তেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ছোট মেয়ে রামিতা রোকন ছিল ভিকারুন নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
রোকন উদ্দিনের স্ত্রী নাইমা আক্তারের স্বজনরা বলেন, বড় মেয়ের বিয়ের পর থেকেই মুলত পরিবারটির পরিবর্তন ঘটে। বড় মেয়ের স্বামী শিশিরও ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র।
তারা আরো বলেন, এই পরিবারটি দুই বার বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমবার জানাজানি হওয়ায় দ্বিতীয়বার কাউকে না জানিয়েই তারা সব ঠিকঠাক করে এবং দেশ ছাড়ার আগের দিন মালয়েশিয়া যাচ্ছেন বলে স্বজনদের জানান।যাওয়ার পর স্বজনদের সঙ্গে তারা ৪ বার যোগাযোগ করেন এবং জানান একটি মুসলিম দেশে আছেন।
এদিকে, রোকন উদ্দিনের শ্যালক বলেন, তারা কোথায় গেছেন সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ পরিবারটির সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
পুলিশ ধারনা করছে, এ পরিবারটি তুরস্কে গেছে— নিরাপত্তা বাহিনী নতুন করে যে নিখোঁজ ৭ জনের ছবি প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক রোকন উদ্দিন, তার স্ত্রী নাইমা আক্তার, বড় মেয়ে নাদিয়া রোকন, ছোট মেয়ে রামিতা রোকন, বড় মেয়ের স্বামী শিশির।
তবে পুলিশ বলছে, তার নাম সাদ কায়েস।
এছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন গুলশানের সোজাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো আর বনানীর তাওসীফ হোসেন।