শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন এবং নেতৃত্বদানের উপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতি জরুরি বলে মনে করছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
তাদের মতে, এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদভিত্তিক রাজনীতি চর্চা। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে ছাত্রসংসদ বৈধ একটি কাঠামো। এর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রকৃত অর্থে রাজনীতি সচেতন হতে পারে।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো দেশের ক্রান্তিকালের বিভিন্ন সময় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
ছাত্রদের সোচ্চার হতে সেসময় নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্র সংসদের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে সময়ের পালাক্রমে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্রসংসদ ভিত্তিক রাজনীতি আজ বিল্পুপ্ত প্রায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ জায়গা করে নিচ্ছে অসুস্থ রাজনীতি।
আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির কোন সুযোগ না থাকায় সহজেই জায়গা করে নিচ্ছে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী আদর্শ।
কোনো শিক্ষার্থীই যাতে জঙ্গীবাদী আদর্শে ধাবিত হতে না পারে এর জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন আছে কি-না সাবেক ছাত্রনেতারাদের কাছে এমন প্রশ্ন রাখলে সাবেক ছাত্রনেতারা বলেন, নেতৃত্ব দানে সক্ষম একেকটি রাজনৈতিক সচেতন প্রজন্ম তৈরি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির বিকল্প নেই।
ছাত্রনেতারা আরো বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু ছাত্র রাজনীতির ধারা থাকলেই চলবে না সেখানে শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকতে হবে। যা শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শও দেন এসব নেতা।