দেশিয় মোটরসাইকেল শিল্পের বয়স মাত্র ৫ বছর। এ সময়েই বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের মোট বাজারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দখলে নিয়েছেন দেশিয় উদ্যোক্তারা।
অটো মোবাইল সমিতির হিসেবে, গত তিন বছরে বাজারে দেশি মোটরসাইকেলের দাপট ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৩ সালে ১৮% থেকে বর্তমানে ২৫% বাজার এখন দেশিয় মোটরসাইকেলের দখলে।
তবে বিকাশিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করেই এবারের বাজেট নির্দশনায় খানিকটা হোচট খেল এই শিল্পের অগ্রযাত্রা। বাজেটে শুল্ক কমানো হলো, বিদেশি মোটরসাইকেলের। আর নতুন করে ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হলো দেশিয় মোটরসাইকেলের ওপর।
প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকৃত মোটরসাইলের ওপর থেকে কর কমছে। তবে বিকাশমান দেশিয় মোটরসাইকেল শিল্পের ওপর নতুন করে আরোপ হচ্ছে ১৫% ভ্যাট।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বামা) সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বলেন, এর ফলে দ্বিমুখী চাপে পড়তে যাচ্ছে দেশিয় মোটরসাইকেল শিল্প। মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কায় সম্ভাবনাময় এই খাত। বিদেশি মোটরসাইকেল আমদানির ওপর শুল্ক আগের মতোই ৪৫% রাখার পরামর্শও দেন তিনি।
বামার সভাপতি আরো বলেন, এতে বাড়বে দেশি মোটরসাইকেলের দাম, কমবে বিদেশির। এর ফলে চীন ও ভারতের দাপটে সম্ভাবনাময় দেশিয় এ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে বলে তাদের আশংকা।
সরকারের এই নীতিকে সমর্থন করছেন না অর্থনীতিবিদরাও। তাদের মতে কমপক্ষে বাজারে ৫০% বাজার দেশি মটরসাইকেল নির্মাতাদের দখলে যাওয়ার আগে ভিন্ন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না।
অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘একই সঙ্গে দুইদিকে আপনি চাপ দেয়া হচ্ছে। আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের সুদের হার কমায় দেয়া হয়েছে আবার দেশে ভ্যাটের হার বাড়ায় দেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় তাদেরকে আরো কিছু সময় বাড়িয়ে দেয়ার দরকার ছিলো। দুইদিক দিয়ে চাপ না দিয়ে সংরক্ষণের জন্য শুল্কের হার একটু বাড়তি রাখা যেতে পারে।’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের মধ্যে থেকেই দেশিয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার কৌশল খুঁজে বের করতে সরকারকে পরামর্শ তার।