নৌ পথে শুরু হলেও সড়ক ও রেলপথে ভারতকে ট্রানজিট দিতে এখনও প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ। তবে এগোচ্ছে চারদেশীয় ট্রানজিট প্রক্রিয়া। ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণের পাশাপাশি চলছে ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতের কাজ। দায়িত্বে থাকা
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র বলছে, ভুটানের সম্মতি আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঠনের পরই প্রটোকল স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হবে।
আর এ ট্রানজিটেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে তা নির্ভর করছে সরকারের চুক্তি ও পরিকল্পনার ওপর।
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে বছরে তিন কোটি ৮৫ লাখ টন পণ্য পরিবহণ করা হয়। এরমধ্যে শুধু আসামেই এর পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টন। বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহারের সুযোগ পেলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এক কোটি ৫৬ লাখ টন পণ্য পরিবাহিত হবে।
আর বর্তমানের এক হাজার ৬৮০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে আসবে ৪৯৬ কিলোমিটারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়বে, বাড়বে বিনিয়োগ-বাণিজ্য।
সড়ক, নৌ এবং রেলপথ মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট ১৪টি পয়েন্ট ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে ভারত। নৌপথে ট্রানজিট শুরু হলেও সড়ক ও রেলপথ ট্রানজিটের জন্য এখনও তৈরি নয়।
বিশেষজ্ঞদের মত, পুরোপুরি প্রস্তুতি না নিয়ে ট্রানজিট চালু হলে এ প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
এ জন্য প্রয়োজনে ট্রানজিট সুবিধাভোগী দেশগুলোর কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
এদিকে, বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল-ভুটান চারদেশীয় সড়ক যোগাযোগ চালু করতে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক বলেন, এ প্রক্রিয়ায় ভুটানের সম্মতি পাওয়া গেলেই প্রটোকল স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।