গত ৫ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ১০৮%— বাস্তবায়ন মূল বাজেটের ৮০ থেকে ৮৬ এবং সংশোধিত বাজেটের ৯১% থেকে ৯৫% মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
যতোটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব বাজেটের আকার ঠিক ততোটুকুই হওয়া উচিত সিপিডি এমনটা মনে করলেও, অর্থমন্ত্রীর দাবি- বাজেটে বড় লক্ষ্য নির্ধারণের ফলেই ৭% ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আর এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় বাজেট প্রত্যাশিত হলেও, বাস্তবায়ন সক্ষমতার দিকেও নজর দেয়া জরুরি।
আগামী অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ বাজেট ২০১১-১২ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০৮% বেশি।
২০১১-১২ অর্থবছরে মূল বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৮৩% আর ২০১৪-১৫ তেও সেই হার প্রায় একই আছে, ৮৪%। যদিও সংশোধিত বাজেটে তা প্রায় ৯৫% আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৫১%।
সিপিডি মনে করে, শুরুতে বড় বাজেট দিয়ে, বছরের মাঝখানে তা কাঁটছাট করা হয়। তারপরও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়না। যা বাজেট সমন্ধে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি আস্থাহীনতার সৃষ্টি করে।
তবে সিপিডির এ বিশ্লেষণ আমলে নিচ্ছেন না অর্থমন্ত্রী। তার মতে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বড় বাজেট দিতেই হবে। মাঝখানে কাঁটছাট করা, কিংম্বা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করতে পারলেও, এ থেকে সুফল পাওয়া যায়।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের চাহিদার তুলনায় বাজেট বড় নয়। তবে বাস্তবায়ন সক্ষমতার তুলনায় বড়। তাই বাজেটের আকার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন সক্ষমতার দিকেও আরো নজর দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
তারাও মনে করছেন, বিগত ৫ বছরে বাস্তবায়ন সক্ষমতা বেড়েছে। তবে বাজেটের আকার যেভাবে বেড়েছে, বাস্তবায়ন সক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি।