বিনিয়োগ ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আসছে বাজেটে বরাদ্দ থাকছে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বিশেষ করে যোগযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চলে ৬০টি সেতু, নতুন সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারের জন্য বাজেটে থাকছে বিশেষ কর্মসূচি। এ খাতে বরাদ্দ থাকছে ৩৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ।
এর মধ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ থাকছে ২১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বিনিয়োগ বান্ধব হচ্ছে বলেই মনে করছে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
বেসরকারি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগামী বাজেটে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ৬টি বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুর মুহিত।
এরমধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশব্যাপী যোগযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার কর্মসূচি রয়েছে। আর তা বাস্তবায়নে থাকবে নতুন ৬০টি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা। এ ছাড়া ২০ বছর মেয়াদি একটি রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের ঘোষণাও থাকবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়। পাশাপাশি ৫টি মেট্রোরেল নির্মাণের ঘোষণাও থাকবে আগামী বাজেটে।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে বিনিয়োগে চাঞ্চল্য ফিরবে বলে আশা করছে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের ঘোষণাও আগামী বাজেটে থাকবে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দীন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম মনে করেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এসব উদ্যোগ ইতিবাচক কিন্তু যথেষ্ট নয়।
তাদের মতে, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, দুর্নীতি কমানো এবং দেশে আর ১/১১ এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, বিনিয়োগকারীদের এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটকে সরকার দেখছে বিনিযোগ বান্ধব এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বাজেট হিসেবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ ঊচ্চ মধ্যআয়ের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।