ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৮টি করে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করার সিদ্ধান্তকে অপরিকল্পিত, অপরিণত বলে আখ্যায়িত করেছেন কোনো কোনো নগর পরিকল্পনাবিদ। আয়তন না বাড়িয়ে ঢাকাকে চার সিটিতে ভাগ করার পরামর্শ তাদের।
এতে বৃহত্তর ঢাকা সিটি আরো সুসংগঠিত হওয়ার পাশাপশি নাগরিক সেবার মান বাড়বে। আর কেউ কেউ মনে করেন, ঢাকার দুই সিটির আয়তন বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে।
সেইসঙ্গে নতুন অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া ইউনিয়নগুলোর বিপুল সংখ্যক বাসিন্দারা আগের চেয়ে উন্নত পরিসেবা পাবেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির আয়তন বাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি-নিকারের বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ৮টি করে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রশাসনে সমন্বয়হীনতা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদদের কেউ কেউ।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘নতুন দুটি সিটি করপোরেশন তৈরি করে মেয়র ও কাউন্সিলর তৈরি করে আমরা কেন সুসংযোগ করলাম না, এটি এমন একটি প্রেক্ষাপটে করা হলো একবছর পূর্তি হয়েছে আমাদের মেয়রদের ঠিক ওই সময়ে, আর একবছর পূর্তিতে তারা শিকার করেছেন সাংগঠনিক দক্ষতায় প্রশাসনিক কাঠামোগতভাবে এবং তাদের সমন্বয় না করার কারণে খুব একটা সাফল্যের চিত্র তারা দেখতে পারেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে সিদ্ধান্তটি অপরিণত কিছুটি সাংঘর্ষিক।’
তবে এ নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। কোনো কোনো নগর পরিকল্পনাবিদ মনে করেন ঢাকার দুই সিটির আয়তন বাড়ার ফলে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে। সেইসঙ্গে যেসব ইউনিয়ন সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তাদের বাসিন্দারা আগের চেয়ে উন্নত পরিসেবা পাবেন।
স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, ‘যতগুলো সেবা আছে সবগুলোই মানগতভাবে পেছানো ছিল এই নিরেখে আমি মনে করি এ পদক্ষেপ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।’
ঢাকার দুই সিটিতে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় এর আয়তন ১২৭ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২৭০ বর্গকিলোমিটার। আর ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, বর্ধিত আয়তনে ঢাকার দুই সিটির মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি।