মূল সেতুর প্রায় ২২ শতাংশসহ সার্বিকভাবে পদ্মাবহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৩৩%- উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করে আগামী ২০১৮ সাল থেকেই পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলবে বলে আশা করছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চার বছর মেয়াদকালের প্রথম দেড় বছরে মুল সেতুতে কাজের অগ্রগতি সাড়ে ২১ শতাংশ এবং নদী শাসনে ১৮.২৭ শতাংশ।
সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সেতুর বর্তমান অগ্রগতিতে স্বস্তিতে সরকার বলেও জানান মুস্তফা কামাল।
এদিকে, সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, মাওয়া ও জাজিরা সেতু সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে যথাক্রমে ৭৯.২০ এবং ৬৮.৯৪ শতাংশ। সার্বিক এরিয়া নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৮৫.০৫ শতাংশ।
পদ্মা সেতু ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলার সড়ক ও রেলপথে সংযোগ স্থাপন করবে। এটি যেমন এ অঞ্চল তথা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে তেননি পদ্মা সেতুর রাজনৈতিক গুরত্বও এর নির্মাণ কাজকে ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ পাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রকল্পের সাইট অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে পাইলিংয়ের কাজ। এরইমধ্যে মুল সেতুর ১৩টি টেস্ট পাইলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রমত্তা পদ্মার খেয়ালী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে, তার বুকের ১২০ মিটার গভীর থেকে গেথে তোলা হচ্ছে একেকটি পিয়ার। মোটি ৪২টি পিয়ারের মধ্যে এরকম ৯টি পিয়ারের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে একযোগে। এই পিয়ারের উপর বসবে রেলরাইন ও কংক্রিটের প্লেট। বাস্তবে রূপ নিবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দোতালা সেতু।
নদী শাসন, পলি নিয়ন্ত্রণ, পদ্মার ১২০ মিটার গভীরে পাইলিং, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলা আর দুর্নীতির অভিযোগে এ প্রকল্প থেকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল করে। তাই নিজেদের অর্থ দিয়েই তৈরি হচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু।