চলতি মাসেই গ্যাসের দাম বাড়ার আভাস দিয়েছিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। যুক্তি দিয়েছিলেন, পাইপ লাইনের গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এলএনজির ব্যবহার উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার সরকার গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় প্রায় দ্বিগুণ।
আবাসিক ও পরিবহন খাতে গ্যাসের দাম বাড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, এলএনজি ও এলপিজি উৎসাহিত করতেই এ উদ্যোগ।
এর প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে সাধারণ মানুষের বাসাবাড়িতে। পুরোমাত্রায় এ সিদ্ধান্তের ঘোরবিরোধী সাধারণ জনগণ—কোনোভাবেই এটিকে স্বাগত জানাতে পারছেন না। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানো শতভাগ অযৌক্তিক ও অমানবিক বলে অভিহিত করছেন তারা।
আর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ছে পরিবহন খাতেও। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি সাধারণ জনগণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিদ্ধান্ত সরকারের অদূরদর্শিতার পরিচয়। তবে সর্বজনীন বিচার-বিবেচনা সাপেক্ষে বাস্তবায়নের পথে হাঁটা উচিত সরকারের।
এদিকে, আবাসিক, শিল্প এবং সিএনজিসহ সব ক্ষেত্রেই ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল ২৬.২৯%। তখন আবাসিকে এক চুলায় ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা এবং দুই চুলায় ৪৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
আর শিল্পে প্রতি ইউনিট ৬.৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১.৩৬ টাকা এবং সিএনজিতে ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ৮ মাস যেতে না যেতেই গ্যাসের দাম আবারও বাড়াতে চাচ্ছে সরকার।