সম্প্রতি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গত ২৫ দিনে সারাদেশে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে করা হয়েছে। তদন্ত ও অনুসন্ধানসহ দায়িত্ব পালনে তদন্ত কর্মকর্তাদের সক্রিয়তা বেড়েছে। জবাবদিহিতারও মুখোমুখি হতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।
কাজে গতিশীলতা বাড়াতে কিংবা দুদক সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফেরাতে দুদকের চলমান উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সব দুর্নীতির মামলা সমান গুরুত্বের তাগিদ তাদের।
পদ্মাসেতু, হলমার্ক, ডেসটিনিসহ আলোচিত বেশ কয়েকটি মামলার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও মামলা করে আলোচনায় ছিল দুদক।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসহ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির বিভিন্ন মামলা চলছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে এধরনের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও দায়মুক্ত কমিশন হিসেবে নাম দাঁড়িয়ে গেছে দুদকের।
সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ইকবাল মাহমুদ সম্প্রতি দুদকের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপরই কাজে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্থাটিকে আরো সক্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
নির্ধারিত সময় প্রতিবেদন দাখিল না করা, ফাইল আটকে রাখা, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানিসহ কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সংস্থাটির কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ।
দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান। ২৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪ জন।
গ্রেপ্তার অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তিই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন— এ কথা উল্লেখ করে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এটা নির্ভর করছে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর।
এদিকে, নতুন কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কর্মপরিকল্পনাও নিয়েছে। যেখানে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিস্পত্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
দুদকের চলমান উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জনগণের আস্থা ফিরে পেতে এ উদ্যোগ কাজে আসবে।
আর এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার তাগিদ দিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয়ের চেয়ে, অভিযোগকেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।