ঝুলে গেছে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রক্রিয়া— প্রায় দুই সপ্তাহ আগে দাম কমানোর প্রস্তাব করা হলেও তা এখনো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে।
মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, কবে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার দেশটিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এ ব্যাপারে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিদ্ধান্ত আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দেরিতে হলেও দাম কমবে।
এদিকে, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের একটি অংশ এখনো দাম কমানোর পক্ষে নয়— তারা মনে করছে দাম যে পর্যায়েই থাকুক না কেন তাতে গ্রাহকরা একটি স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পেট্রোল, অকটেন, কেরোসিন ও ডিজেলের দাম তিন ধাপে লিটার প্রতি ২০ টাকা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, মন্ত্রণালয়।
এ লক্ষে প্রথম দফা দাম কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হলেও স্পষ্ট না হওয়ায় তা ফেরত পাঠানো হয়। অবশেষে গত সপ্তাহে সংশোধন করে আবার প্রস্তাব পাঠালেও এখনো তা অনুমোদন পায়নি।
গত ৩ ও ৪ এপ্রিল, এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও এ বিষয়ে অনিশ্চয়তায় প্রতিমন্ত্রী নিজেই।
বিশ্ববাজারে যখন প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলার, ২০১৩ সালে তখন দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে বর্তমান অবস্থায় আনা হয়।
এরপর থেকে কমতে কমতে বিশ্ববাজারে দাম ৪০ ডলারের নিচে নেমে আসলেও দেশের বাজারে একটুও কমানো হয়নি।