অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান ১ ও ২ নম্বর আবাসিক এলাকা কোলাহলের দিক থেকে এখন ছাড়িয়ে গেছে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল-দিলকুশাকেও। নামে আবাসিক হলেও বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় এ আবাসিক এলাকাটিতে।
বেশিরভাগ ফ্ল্যাটের মালিকই বেশি ভাড়ার লোভে আবাসিকের নামে তাদের ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হোটেল, রেস্টুরেন্টও। আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ভুক্তভোগীরা এখন পরিত্রাণের আশায় দিন গুণছেন।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, শুধু আবাসিক নয় পরিকল্পিত রাজধানী গড়ে তুলতে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা নিয়েছে তা বাস্তবায়নে একদিকে যেমন সুষ্ঠু পরিকল্পনা দরকার। অন্যদিকে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়।
বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই আবাসিক বাড়িটির ভেতরে আসলে কি হচ্ছে? তিনতলার একটি ফ্লাটে ঢুকেই দেখা মেলে দিব্যি অফিস বানিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে একটি তৈরি পোশাক কোম্পানি।
ওই ভবনেরই অন্য ফ্লোরে ক্যামেরায় ধরা পড়ল আরেক চিত্র। আবাসিকের নামে ভাড়া নিয়ে চলছে স্পা'র ব্যবসা। এমন অবস্থায় বিপাকে ভবনটির আবাসিক বাসিন্দারা।
পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে ঢাকা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট-ডিআইটির উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গুলশান। পরবর্তীতে এর দায়িত্ব পায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।
বর্তমানে গুলশানের-১ ও ২ নম্বর আবাসিক এলাকায় এমন কোনো সড়ক খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আবাসিক প্লটে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চলছে না। ফলে নগরীর অন্যান্য যে কোনো অংশের চেয়ে কথিত এ অভিজাত এলাকায় যানজট এখন অনেক বেশি।