বাড়ছেই গ্যাসের দাম। দাম বাড়াতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এরইমধ্যে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসিতে প্রস্তাব জমা দিয়েছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো।
প্রস্তাবে আসাবিকে গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুন বাড়িয়ে এক চুলায় এক হাজার ১'শ টাকা এবং দুই চুলায় ১ হাজার ২'শ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। আর মিটার ব্যবহারকারীদের জন্য ১৪০% বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষে সরকার, এক মাসের মধ্যে গ্যাসের বাড়তি দাম কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
রোববার দেশটিভিকে দেয়া সাক্ষাতে এ কথা বলেন বিইআরসিএর সদস্য সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের চাপ ছিল।
তিতাস গ্যাস, জিটিসএলসহ গ্যাস সরবরাহকারী ৭টি প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়াতে বিইআরসিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। দাম গড়ে ৯১% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
প্রস্তাব অনুযায়ী আবাসিকে এক চুলা ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের দাম ৮৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ১'শ টাকা এবং দুই চুলার ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ২'শ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। আর মিটার ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি ইউনিট ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১৭ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সিএনজিতে ৮৩% বাড়িয়ে প্রতি ইউনিটে প্রায় ৫০ টাকা, বাণিজ্যে ৭২% বাড়িয়ে সাড়ে ১৯ টাকা এবং শিল্পে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৯৫ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বিইআরসিতে।
দামের বাড়তি প্রভাব পড়বে বিদ্যুতের ওপরেও। বর্তমানের ২ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে, এ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সার উৎপাদনে ৭১% এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টে ১৩০% বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
পর্যালোচনা শেষে, এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।
গ্যাসের অপচয় রোধ, রাজস্ব ব্যায়ের ঘাটতি মেটানো আর ভবিষ্যতে উচ্চ মূল্যের জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলার জন্য সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, দাতা সংস্থাগুলো থেকেও এ বিষয়ে চাপ আছে।
গত সেপ্টেম্বরে সরকার গ্যাসের দাম গড়ে ২৬.২৯% বাড়িয়েছিল।