ছয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মাঝপথেই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি। রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তবে, এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা রাতে কিংবা কাল সকালে- সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে।
আওয়ামী-লীগের প্রার্থী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ত্রাস সৃষ্টি, কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে-বলছেন বিএনপি নেতারা। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে অংশ নেয়াকে তাই অনর্থক বলেই তারা মনে করছেন।
পাঁচ বছর আগেও রাজনৈতিক দলগুলো স্থানীয় সরকারের নির্দলীয় নির্বাচনগুলোতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ভোটের লড়াইয়ে থাকতো। এবার আইন বদলে পুরোপুরি দলীয় ঝান্ডা নিয়েই মাঠে প্রান্তরের নির্বাচনে শুরু হয়ে গেছে প্রতীক যুদ্ধ। ভোট যুদ্ধের এমন লড়াই আগে কেবল জাতীয় নির্বাচনেই দেখা মিলত।
দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের অধীনে দলীয় প্রতীকের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছে। তবে ৬ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ২য় ধাপ শেষে ফলাফল হিসেবে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী-লীগের প্রার্থী-সমর্থকরা ত্রাস সৃষ্টি করছে চলছে কেন্দ্র দখল আর ভোট কারচুপি। নির্বাচন কমিশনকেও সমানভাবে দুষছে দলটি।
এ পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে জোর আলোচনা চলছে নির্বাচন বর্জনের। ৬ ধাপের নির্বাচনের মধ্যে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন হবে ২৩ এপ্রিল। এরইমধ্যে বিএনপি নিজেদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করে মনোনয়ন দিয়েছে। সেক্ষেত্রে, ৩য় ধাপ পর্যন্ত নির্বাচনে মাঠে থাকছে দলটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচনে থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।