বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ হত্যার একবছরেও প্রকৃত খুনিদের ধরতে পারেনি পুলিশ—তবে মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তাদেরকে শনাক্ত করা হযেছে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এদিকে, অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে আবারো আশা প্রকাশ করেছেন তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।
এতোদিন পার হলেও অভিজিৎ হত্যার কোনো কূল-কিনারা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। তারপরও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আস্থা রাখছেন অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।
দেশ টিভিকে তিনি বলেন, হত্যা তদন্তে গোয়েন্দাদের সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছেন।
অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, ‘আমরা যতটা আশা করি ততটা অগ্রততি ঘটেনি, তবে একেবারে অগ্রগতি ঘটেনি তা বললো না, মানুষ আশা নিয়েই বাঁচে, আমি যদি আশা করা ছেড়ে দেই তাহলে তো হত্যাকারীদেরই জয় হলো আমি সেটা হতে দিতে চাই না।’
এ হত্যা মামলায় কয়েকজন পুলিশের হাতে আটক আছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এফবিআই ১১টি আলামতের ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন করেছে— শিগগিরই এর রিপোর্ট হাতে আসবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এ মামলার তদন্তে বেশ কিছু অগ্রগতি অবশ্যই আছে, এ মামলায় ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরো গ্রেপ্তার হবে পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ যেসব আলামত পাওয়া গেছে এবং এখানের বেশ কিছু প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আপনাদের সব তথ্য জানানো যাবে।’
উল্লেখ, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের কাছেই জঙ্গিরা কুপিয়ে খুন করে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে। এসময় হামলায় আহত হন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও।
এরপর ওই হত্যাকাণ্ড তদন্তে সাহায্য করতে ৫ মার্চ ঢাকা আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা- এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল। ৬ মার্চ তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা ১১টি আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দেয়া হয় এফবিআইকে। এরপর প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি মামলাটির তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ।