ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৭৩৯ জন প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নেতারা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের তৃণমূল নেতাদের অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ২২মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (ইউপি)।
এরইমধ্যে প্রথম ধাপের জন্য ৭৩৯ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে দলের পক্ষে থেকে।
প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলেও জনবিচ্ছিন্ন নেতা ও বিএনপি-জামাত করা ব্যক্তিদেরও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে –এ অভিযোগ এনে দলের অনেক তৃণমূল নেতা সভানেত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে এর সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
মনোনয়ন না পাওয়ারা ক্ষোভ থেকে অভিযোগ করছেন দাবি করে নেতারা বলেন, এসব অভিযোগ অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশ করছে গণমাধ্যম জানান সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী
কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন প্রাপ্তদের ওপর দলেরই প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের হামলার সমালোচনা করে নেতারা আরো বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ জানান তিনি।
এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনিত কিছু প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে জনগণের কাছে গিয়ে আস্থা অর্জনের জন্য তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।