দলকে যেনো বেশি সময় দিতে পারেন সে জন্যই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সিদ্ধান্তটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফের আলোচনার ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে বলে জানান তারা। দেশটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে নেতারা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে সৈয়দ আশরাফের মনে কোনো দুঃখ বা ক্ষোভ নেই। মন্ত্রিসভা বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন মহলে এ ঘটনাকে নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহু-উল আলম লেনিন।
লেনিন বলেন, এটি কোনো ক্ষোভের বহিপ্রকাশ নয়। প্রধানমন্ত্রী ও সৈয়দ আশরাফের আলোচনার ভিত্তিতে, দলের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে তাকে রাখার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিসভা ও সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দলের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
আশরাফের দলীয় পদের বিষয়ে আগামী কাউন্সিলেই পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
গত মঙ্গলবারের একনেকের সভার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আর এর দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সেই গুঞ্জনটিই সত্যি হয়।