প্রায় আঠারো বছর আগে এ দিনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ছাই হয়ে যায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গাছ-পালা, জীবজন্তুসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এতোগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও গ্যাস উত্তোলনকারী মার্কিন কোম্পানি অক্সিডেন্টালের কাছ থেকে এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি সরকার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন করেই চলেছে এলাকাবাসী।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে ১৯৯৩ সালে গ্যাস উত্তোলনের কাজ পায় মার্কিন কোম্পানি অক্সিডেন্টাল। কিন্তু কোম্পানির অদক্ষতার কারণে ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন রাতে গ্যাসের প্রচণ্ড চাপে বিস্ফোরিত হয় মাগুরছড়া গ্যাসকূপ। পুড়ে যায় চা বাগান রেল লাইনসহ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গাছপালা। পুড়ে যায় উত্তোলনযোগ্য আড়াইশো বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
তদন্ত কমিটির হিসেব মতে, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো আন্দোলন করলেও তা এখনও পায়নি এলাকাবাসী।
এ ঘটনার কিছুদিন পরই মার্কিন অক্সিডেন্টাল কোম্পানি নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে ইউনিকল নামে আরেকটি কোম্পানির কাছে গ্যাসকূপের লিজ বিক্রি করে বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। ইউনিকল গ্যাসকূপের লিজ বিক্রি করে দেয় সেভরন নামের আরেকটি কোম্পানির কাছে।
সেভরন নতুন কূপ খননের জন্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অনুসন্ধান চালিয়ে স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতি করছে বলে জানান তেল, গ্যাস, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব।