বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহণ চলাচলে চুক্তির সফলতা পেতে এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহণ চলাচলে সোমবার চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে ৪ দেশের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করবেন।
এ বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিটের জন্য এরইমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত রয়েছে, কাজ চলছে মংলা বন্দরের। আর ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন-ডব্লিউটিও এর নিয়ম অনুযায়ি ট্যারিফ এবং কস্ট এন্ড ফি ও নির্ধারিত হবে।
এদিকে, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন বলেন, উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে যোগাযোগের এ উদ্যোগে ৪ দেশের মধ্যে ব্যবসা-বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটন খাত বেশি প্রসারিত হবে।
তবে চার দেশীয় বা উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে যোগাযোগের এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ শিক্ষা, বিনিয়োগ, পর্যটন এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হবে বলেও জানান দেলওয়ার হোসেন।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল-মিলিয়ে চলতে এ চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
তার আগে প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভিসা জটিলতা দূর করাসহ দ্রুত সময়ে সমাধান করা যায় এমন বিষয়গুলোর বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ারও তাগিদ দেন দেলওয়ার হোসেন।
বর্তমানে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোন সড়ক যোগাযোগ না থাকায়, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পৌঁছে আলাদা পরিবহণে করে সড়ক পথে এ দু’দেশে যেতে হয়।
উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১৪ সালে সার্ক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল- এই ৪ দেশে যাত্রী ও পণ্যবাহী এবং ব্যক্তিগতসহ সব ধরণের পরিবহণ চলাচল করবে। নানা কারণে এতদিন তা আর কার্যকর হয়নি।
অবশেষে এ উদ্যোগ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সব ধরণের পরিবহণ সরাসরি চলাচল করবে আগামী বছর থেকে। আগামীকাল ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে এ বিষয়ে ৪ দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। আর এ চুক্তির উদ্বোধন করবেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে।