আগামীতে মাধ্যমিক ও ঊচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক বা এমসিকিউ পদ্ধতি থাকছে না— থাকছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাময়িক বা টার্মিনাল পরীক্ষাগুলোতেও– শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা হয় দেশ টিভির সঙ্গে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী ও শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান।
এ পদ্ধতি সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার সহায়ক নয়— এ কারণ দেখিয়ে সরকার তার চিন্তাভাবনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে—তবে ক্লাস পরীক্ষায় এই পদ্ধতি থাকছে।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, সরকারের এ বিবেচনা সৃজনশীল ব্যবস্থার পরিপন্থী।
নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতি রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত গভীর গবেষণার ভিত্তিতে নেয়া হবে-এমনটি জানান শিক্ষাসচিব।
আর সেরা দশ, সেরা বিশ পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উভয়পক্ষই একমত। একীভূত শিক্ষাপদ্ধতি বাস্তবায়নে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন।
হঠাৎ করেই সরকার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে? তার জবাবে নজরুল ইসলাম জানালেন, এমসিকিউ পদ্ধতি সৃজনশীল ব্যবস্থার সহায়ক না হওয়ার কারণেই এ উদ্যোগ।
তবে গবেষকরা এর বিরোধিতা করে বলেন, এতে করে বরং সৃজনশীল ব্যবস্থার ক্ষতিই হবে আর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত গবেষণার পরামর্শ দেন।
এদিকে, সেরা দশ, সেরা বিশ পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিক্ষাসচিব। আর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা গবেষকরাও সমর্থন করছেন।
গত ৩০ মে অর্থাৎ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের দিন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সরকারের এই চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানান।
একইসঙ্গে আগামীতে সেরা দশ, সেরা বিশ-এর পদ্ধতিও থাকছে না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: ১৯৯২ সাল থেকে এসএসসি ও ২০১২ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক বা এমসিকিউ পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে আগামীতে এই দুই পাবলিক পরীক্ষায় আর থাকছে না এ পদ্ধতি।