ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সব মিলিয়ে ওই দেশটি বেশি লাভের অংশই পেয়েছে—এ মন্তব্য করেছেন
বিএনপি নেতারা। সোমবার দেশ টিভিকে এ কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
আর খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বার্তা দিয়ে গেছেন—এ কথা উল্লেখ করে নেতারা আশা প্রকাশ করেন, প্রতিবেশী ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায়ও ভারত যথাযথ ব্যবস্থা নেবে দেশটি।
অতীতে বরাবরই ভারতবিদ্বেষী মনোভাবের জন্য পরিচিত ছিল বিএনপি। তবে সময়ের পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে এখন ভারতের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলায় উদ্যোগী হয়েছে দলটি।
এরই অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কথা এসময় তুলে ধরেন বিএনপি নেত্রী।
তবে মোদি এ সময় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার সরকারের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। পরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রাহ্মানিয়াম।
নরেন্দ্র মোদির এ সফর এবং তার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈঠককে কিভাবে মূল্যায়ণ করছেন –এ প্রশ্নে দলটির নেতারা বলেন, বিএনপি কখনোই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি।
বৈঠককে ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে প্রতিবেশী ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আসম হান্নান শাহ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
দু'দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি হয়েছে তাতে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিএনপি তারা।
আর, তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুর কোনো সুরাহা না হওয়াটা হতাশাজনক বলেও মন্তব্য তাদের।