প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
তবে এ সফরকে ফলপ্রসূ মনে করলেও তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সেভাবে না ওঠায় তারা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিস্তা ও অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আদায়ের পরামর্শ দেন রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, তারেক শামসুর রহমান এবং ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
একই সঙ্গে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সংযোগ জোরদারের যে পথ তৈরি হয়েছে সে অর্জন সামনে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে বলে তারা মত দেন।
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন অনেক বেশি উষ্ণ। শুরুটা ২০১০ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে হলেও ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরোধিতায় সম্পর্কে কিছুটা টানপোড়েন দেখা দেয়।
তবে ভারতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী মোদির আশ্বাস বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আবারো আশার সঞ্চার করেছে।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুদেশের সম্পর্ক এক নতুন ঊচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্যবসা-বিনিয়োগ সংযোগ আর সাংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরির ঘোষণা মোদি দিয়েছেন- তা অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করছে। সে সু-সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিস্তা ও অভিন্ন নদীর পানির সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা তারেক শামসুর রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও রাশেদ আহমেদ চৌধুরী।
দুদেশের মধ্যে যে ৬৫টি যৌথ ঘোষণা এসেছে- তা বাস্তবায়নে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। জোর দিয়েছেন উপ-আঞ্চলিক জোটকে শক্তিশালী করার ওপর।
মোদির ঢাকা সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন সাবেক কূটনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুদেশের দীর্ঘদিনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ তার।
আর সরকারের এ উদ্যোগে তার দলের সমর্থন, সহযোগিতা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বিনিয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ সবার।