দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা আসতে পারে এবারের বাজেটে— আর কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারিত হতে পারে ৯০ লাখ লোকের।
আর বিনিয়োগ বাড়াতে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বাজেটে থাকতে পারে বিশেষ দিক নির্দেশনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে এবং পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
পড়ালেখা শেষ করার পরপরই বাস্তবের রঙ লাগতে শুরু করে ছাত্রজীবনে দেখা রঙিন স্বপ্নে। চাহিদা অনুযায়ী সেভাবে চাকরি নেই। শুরু হয় বেকারত্বের সংগ্রাম।
প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বের হওয়া অসংখ্য তরুণ-তরুণীর চাকরির সংস্থান করতে হয় সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তারপরও কর্মহীন থেকে যায় একটি বিরাট অংশ।
কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে এবারের বাজেটে থাকছে বিশেষ নির্দেশনা। ৯০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য থাকতে পারে ২০১৫-১৫ অর্থবছরের বাজেটে।
এ জন্য চাই বিপুল অংকের বিনিয়োগ। বেশ কয়েক বছর ধরে থমকে থাকা বিনিয়োগে গতি ফেরাতে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণে।
সরকার আশা করছে সরকারি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসবে। প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান। যেখানে কাজের সুযোগ তৈরি হবে দক্ষ-অদক্ষ সব শ্রেণীর মানুষের।
তবে অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত বলেন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের এ লক্ষ্য পুরণ হবে কিনা তা নির্ভর করছে সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতার ওপর।
বাংলাদেশ লেবার ফোর্স সার্ভের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর, ১৫ লাখ দক্ষ-অদক্ষ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করে। এরমধ্যে কাজের সুযোগ হয় সামান্য একটি অংশের।