ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর দুদেশের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দেশটির ত্রিপুরা রাজ্যের গণমাধ্যম কর্মী গৌতম দাস।
এ সফরে সই হতে যাওয়া বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির ফলে ডিসেম্বরে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস। তবে এর পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও এ রুট ব্যবহৃত হবে বলে আশা প্রকাশ তারা।
সম্প্রতি কমরেড অমল সেনের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দৈনিক দেশের কথার সম্পাদক গৌতম দাস।
দেশ টিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐকান্তিক সহযোগিতার ফলেই ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয়েছে সেটার যে ভারি যন্ত্রপাতি সেটা এখানে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে নদী পথ এবং স্থল পথ ব্যবহার করতে দিয়েছে বাংলাদেশ, এই পথ ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি না দিত আজকে এ প্রকল্প হতো না। কারণ আসাম ও মেঘালয় দিয়ে ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে আসার কোনো ব্যবস্থা নেই।’
মোদির সফরের মধ্য দিয়ে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন ত্রিপুরার মানুষ—এ কথা উল্লেখ করে গৌতম দাস বলেন, আর এ রুটে পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হলে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের বিশাল বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হওয়া উচিত কথা জানিয়ে— গৌতম দাস বলেন, এক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতায় তারা লজ্জিত।
তিনি বলেন, ‘ভারতবাসী হিসেবে তার (মমতা ব্যানার্জি) আচরণে আমরা লজ্জিত।’