আসন্ন বাজেট থেকেই বাড়তে পারে (মূল্য সংযোজন কর) মূসক বা ভ্যাট। তাই বিলাসী পণ্য থেকে শুরু করে নিত্য পণ্য এবং রাজধানী থেকে উপজেলা পর্যন্ত সব শ্রেণীপেশার ভোক্তাকেই ভ্যাটের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
ভ্যাট থেকে ৬৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা আদায়ের ঘোষণা আসতে পারে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।
তবে এতে সরকারের আয় বাড়লেও, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে যাবে। তবে বর্তমান অবকাঠামো দিয়ে, সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
কোনো পণ্য বা সেবা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মুল্যের অতিরিক্ত যে কর ভোক্তাকে পরিশোধ করতে হয়, তা ভ্যাট বা মুল্য সংযোজন কর হিসেবে পরিচিত। এতদিন সুপার শপ বা জেলা শহরের বড় বড় দোকানের ক্রেতাদের কাছ থেকে মুল্যের অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট হিসেবে আদায় করা হত।
তবে সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর থেকে শহরের অলিগলি থেকে উপজেলা পর্যন্ত সব ধরণের দোকানেই ক্রেতাদের ভ্যাট দিতে হবে। এ হিসেবে অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের মানুষকেও কোনো পণ্য বা সেবা কেনার সঙ্গে মুল্যের অতিরিক্ত ১৫% অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা সাধারণত, অটোমেশন বা ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারে ভ্যাট হিসেব করে সরকারকে জমা দেয়। আর এ জায়গাতেই বিষয়টি জটিল হয়ে পড়তে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সব জায়গায় ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার বসানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।