আগামী অর্থবছরের বাজেটে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ কমছে কৃষিতে। ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিসহ আসছে বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ থাকতে পারে ১৩ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের কৃষিতে বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বেশি হলেও, আনুপাতিক হারে প্রায় ০.৪% কম। আর কৃষিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হতে পারে সাড়ে ৩%।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তায়, এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত।
এক সময়কার কথিত তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে আজ খাদ্যে স্বয়ম্ভর বাংলাদেশ। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশের তালিকায়ও। এ সত্ত্বেও জাতীয় বাজেটে আনুপাতিক হারে ধারাবাহিকভাবে কমছে কৃষি বরাদ্দ।
২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষিতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬.৫৮%। পরের বছর তা কমে দাঁড়ায় ৬.৪%।
২০১২-১৩ অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়লেও, ২০১৩-১৪ তে তা নেমে আসে ৫.৬৮%। আর চলতি অর্থবছরে তা নেমে এসেছে পাচেরও কম ।
আসন্ন বাজেটে যে আভাস, তাতে বাজেটে কৃষি বরাদ্দ আরো কমে, সাড়ে চারের নিচে নামতে পারে।
খাদ্য উৎপাদনে দেশ খাদ্যে স্বয়ংভর হলেও ভাগ্য বদলায়রি কৃষকদের। কৃষককে উতপাদিত পণ্যের নায্য দাম নিশ্চিত করতে ও পরিবর্তিত জলবায়ু সহনশীল শস্য উৎপাদনে গবেষণা কাজে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কৃষিতে সরকারের ভর্তুকির প্রায় ৯০% যায় সারে। বাকীটা বীজ, সেচ ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ। কৃষির টেকসই উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার পাশাপাশি, ভর্তুকির আওতা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
উৎপাদিত কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে সরকারি নীতি সহায়তা অপরিহার্য়। এতে কৃষক উতপাদিত পণ্যের নায্যমুল্য পাওয়ার পাশাপাশি, সরকারের নির্ধারিত প্রবৃদ্ধিও অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি মৎস ও পশুপালন এবং পোল্ট্রি ফার্মকে ভর্তুকির আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।