বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে চলতি অর্থবছরে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে— বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির তথ্যানুযায়ী ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রায় সাড়ে ৪১ % রপ্তানির প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে নেমে এসেছে ২.৬৩%। রপ্তানির এ করুণ চিত্রের জন্য দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ইউরোর দরপতনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছররে ৩৫টি রপ্তানি মিশনের মধ্যে বেশিরভাগই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এরমধ্যে ১৭টি মিশনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দূরে থাক রপ্তানি আগের অর্থবছরের চেয়েও কম হয়েছে। যে কারণে সামগ্রিক রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫.৭১% কম।
ইপিবির তথ্য অনুয়ায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিটওয়্যার ৬.৩১%, ওভেন প্রায় সাড়ে ৪%, হোম-টেক্সটাইলে ২.৭১, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৯% এবং হিমায়িত খাদ্যে প্রায় ১৭% রপ্তানি কম হয়েছে। যে কারণে সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩% নিচে।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু দেশ টিভিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রপ্তানির সার্বিক চিত্র থেকে দেখা যায় চলতি বছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১০-১১ অর্থবছরে যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪১%। পরের বছরই তা নেমে আসে প্রায় ৬%। এর পরের দুই বছর কিছুটা বাড়লেও চলতি অর্থবছরে নেমে এসেছে ৩ এরও নিচে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ইউরোর দরপতনকে এজন্য দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম।
তবে চলতি বছর, প্লাস্টিক, মেলামাইন, বাইসাইকেল ও কিছু ইলেক্ট্রনিক সামগ্রিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রপ্তানি হয়েছে। যা দেশের রপ্তানি যোগ্য পণ্যের ঝুড়িকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।