বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে সংলাপ নয়—আগে সহিংসতা বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশাজীবীর মানুষেরা।
এজন্য কর্মকৌশল ঠিক করতে দু'একদিনের মধ্যে বৈঠক করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সবগুলো ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী উদ্যোগের আহবায়ক শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
সোমবার দেশটিভিকে এ উদ্যোগ এ কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএ, বিকিএমইএ, এফবিসিসিআইসহ সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মিলে গঠিত সম্মিলিত ব্যবসায়ী উদ্যোগের আহবায়ক।
এ সময় তারা মনে করেন, সবার আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, সংলাপ আর সহিংসতা সমান্তরালভাবে চলতে পারে না।
আর সহিংসতা বন্ধ করে শিক্ষাজীবনের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকরাও সংঘটিতভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সহিংতা বন্ধ হোক এমনটিই চান তিনি।
এ অচলাবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই রাজনীতিবিদদের প্রতি আকুতি জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ। দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক, ব্যবসায়ী সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালনও করছেন।
এদিকে, ছাত্র-যুব-জনতার প্লাটফর্ম 'গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, নির্বাচন নিয়ে নয় সহিংসতার জন্য দায়ী জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় সংলাপ হতে পারে।
তবে রাজনীতিবিদরাই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করবেন আর সবার আগে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান তিনি।
ইমরান বলেন, জাতীয় সংলাপ অবশ্যই হতে পারে। তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য নয়, তা হতে হবে সহিংসতার জন্য দায়ী জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে। তবে চলমান সঙ্কটের সমাধান তৃতীয় পক্ষ করে দেবে না। এর দায় রাজনীতিবিদদের, সমাধানও তাদেরকেই করতে হবে।
প্রায় দেড় মাস ধরে ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ আর থেমে থেমে হরতালের কবলে দেশ। পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ আর পেট্রোলবোমার সহিংসতায় বিপন্ন জনজীবন। বাড়ছে লাশের মিছিল। বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ মানুষের আর্তনাদ। স্থবির অর্থনীতির চাকা। বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।