সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেই দাবি আদায়ে হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি জোট। ইঙ্গিত মিলছে অসহযোগ আন্দোলনের।
দল ও জোটের নেতারা অভিযোগ তুলে দেশ টিভিকে বলেন, সরকার নিজ এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা চালিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘যতদিন পরিস্থিতি দাবি করবে ততদিন আন্দোলনটা করতে হবে, আপনি দেশের জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছেন। আপনি পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করেছেন ফেলেছেন, এ ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে অনেক ঘটনা ঘটে যায় তারজন্য সরকারই দায়ী থাকে।’
সরকারকে পদত্যাগ করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র রাজনীতির জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
‘এখন সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়ে পুলিশের বুলেট দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হবে এসব কথা শুনতে হচ্ছে এ ক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ কোনো কিছু করে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সুস্থ রাজনীতির পথ নেই।’
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার। এ চলমান সংকট অস্ত্রের জোরে নয় রাজনৈতিকভাবেই যেন এর সমাধান করতে হবে।
জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাওয়া দেশের রাজনীতির জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছেন ২০ দলীয় জোট প্রধান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আহ্বানে দেশব্যাপী চলছে লাগাতার অবরোধ। অবরোধের পাশাপাশি কয়েকদফা হরতালও করেছে ২০ দলীয় জোট।
হরতাল-অবরোধে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ। পেছাতে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষাও।
এছাড়াও সারাদেশেই বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে।
এমন প্রেক্ষাপটেও নিজেদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া এমনকি আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত মিলছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের কাছ থেকে।