বিএনপির অবরোধ-হরতালের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক সঙ্কট মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ।
দলটির নেতারা দেশ টিভিকে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস-নাশকতা করছে বিএনপি-জামাত— এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আওয়ামী লীগের মূল অস্ত্র।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশের জনগণই আমাদের মূল শক্তি। এর ওপর নির্ভর করে আমরা এ সন্ত্রাস প্রতিহত করতে পারবো।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া আর রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি এখন জঙ্গিবাদের নেত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সংকট ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ কোনো পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে দাবি আদায়ের পথ মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পথ হতে পারে না। এ মুহূর্তে বিএনপি- জামাত রাজনীতির মধ্যে নেই। তারা আছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তো রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করা যায় না। সন্ত্রাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোকাবেলা করতে হবে।’
গত বছরের শেষ দিন ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ অবরোধ আর পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগ হওয়া হরতাল কর্মসূচির নামে পেট্রোল বোমায় অর্ধশতেরও বেশি মানুষকে পুড়ে মরতে হয়েছে। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শত শত মানুষ। দু'দফায় পিছিয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। উদ্বেগ-আতঙ্কে দেশের মানুষ।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস করে- আওয়ামী লীগকেও সহিংসতার পথে ঠেলে দিতে চাইছে তবে সে ফাঁদে পা তারা দেবেন না।
নানক বলেন, ‘আমাদের ফাঁদে ফেলানো যায়নি বা যাবে না, আমরা কোনোভাবেই সংঘাতের দিকে যেতে চাই না— এ পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করা সেক্ষেত্র খুব সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলা হচ্ছে।’
নেতারা মনে করেন, রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে এতে করে জনবিচ্ছিন্ন হতে চলেছে দলটি। বিএনপির নাশকতার বিরুদ্ধে এখন জনগণের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে আওয়ামী লীগ।
তবে দলের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাড়া- মহল্লায় কমিটি করার কথা বললেও ২০ দিনেও তা হয়ে ওঠেনি। এমন অবস্থায় আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে বসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসজুড়ে বিভিন্ন দিবসভিত্তিক কর্মসূচির পাশাপাশি সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সভানেত্রীর দিক নির্দেশনা আসবে বলে মনে করছেন নেতারা।